অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার মূলত এমন একজন মিডফিল্ডার যিনি সাধারণ মিডফিল্ডারদের সামনে থেকে আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড়দের বলের যোগান দেন এবং কখনও কখনও নিজেরাও আক্রমণ পরিচালনা করেন। একজন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার চমত্কার কলাকৌশন, পাসিং এবং ড্রিবলিং এর অধিকারী হন। তিনি সাধারণত দলের আক্রমণ ভাগের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
স্ট্রাইকারদের পেছনে সেন্ট্রাল মিডফিল্ড অবস্থানে খেললে তাকে “প্লেইং ইন দ্য হোল” বা “ডিপ লাইং ফরোয়ার্ড” বলা হয়, ঐতিহ্যগতভাবে তাকে নম্বর ১০ বলা হয়। একজন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের মূল দায়িত্ব হল নিজ দলের জন্য গোলের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া, এমনকি নিজেও গোল করা।
ফুটবলে এই অবস্থানটিকে প্লেমেকারও বলা হয়। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার এর ক্ষেত্রে ৫ টি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আবশ্যিক।
- দক্ষ প্রথম টাচ
- প্রগতিশীল অফ দ্যা বল মুভমেন্ট
- চমৎকার পাসিং
- অনুপম ভিশন (সতীর্থদের অবস্থান ধারণা ও প্রতিপক্ষের দুর্বলতা বিশ্লেষণ)
- ড্রিবলিং কন্ট্রোল
ছবিতে আমরা লাল দলের ১০ নম্বর মার্ক করা খেলোয়াড়টিকে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পজিশনে দেখতে পাচ্ছি। সেখান থেকে সে সরাসরি নম্বর নাইন স্ট্রাইকারকে পাশ করে আক্রমণ সাজাতে পারে অথবা ৭ বা ১১ নম্বর এ রাইট বা লেফট উইংগারকে কি পাস দিয়ে আক্রমণ সাজাতে পারে। তাছাড়া বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে পেনাল্টি বক্সের কাছাকাছ গিয়ে ড্রিবলিং বা এসিস্ট করার অপশনও রয়েছে।
বর্তমান সময়ের সেরা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারদের মধ্যে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, সেস ফ্যাব্রিগাস, মেসুত ওজিল, ডেভিড সিলভা, ফিলিপ কৌটিনহো, ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন, ইস্কো আলারকন, মারিও গোটজে, কেভিন ডি ব্রুইনা উল্লেখযোগ্য।