কিভাবে চিনবেন টাটকা মুরগি ও ‍আসল গরুর মাংস ?

টিভি নিউজে মরা মুরগি ও গরুর নামে মহিষের মাংসের খবর শুনতে শুনতে মানুষ এখন এতটাই বিরক্ত যে, মাংস কেনার কথা শুনলেই আঁতকে উঠতে হয়। কোন রেস্টুরেন্টে কিসের মাংস দিয়ে ডিশ বানানো হচ্ছে, তা নিয়ে এখন সবার মনেই কমবেশ খুঁতখুত থাকে। বাইরে তো বটেই, বাড়িতেও মাংস খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন অনেকে। কিন্তু তাই বলে সব মাংসই তো আর বাসি মাংস নয়। তাই না? একটু সতর্ক থাকলে আপনিও টাটকা মুরগির মাংস বা আসল গরুর মাংস চিনতে পারবেন।

কিভাবে আসল গরুর মাংস ও টাটকা মুরগির মাংস চেনা যায়, তা নিয়ে ছারপোকা ম্যাগাজিনের আজকের এই পোস্ট ! আসুন প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক, টাটকা মুরগির মাংস চেনার কিছু সহজ উপায়…

টাটকা মুরগির মাংস চেনার উপায়

  1. মুরগির মাংস পুরনো হলে বা সেটিকে পানি ছিটিয়ে টাটকা করার চেষ্টা করা হলে ওই মাংস থেকে স্বাভাবিক গন্ধটাই চলে যায়। এর বদলে মাংস থেকে একটা খারাপও বোঁটকা গন্ধ বের হবে।
  2. মুরগির মাংস টাটকা হলে তার রঙ হবে হালকা গোলাপী। মাংস বাসি হলে রঙ পাল্টে যাবে। তখন মাংসের রঙ কিছুটা ধূসর বা ফ্যাঁকাসে হয়ে যায়।
  3. কাটা মাংসের রক্ত জমাট বেঁধে থাকলে সেই মাংস এড়িয়ে চলুন। কারণ মাংস কাটার ৫-১০ মিনিটের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধেনা।
  4. ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে প্যাকেটজাত মাংস কেনার সময় লক্ষ্য রাখুন, প্যাকেজিংটা ঠিকঠাক রয়েছে কিনা। প্যাকেটের পলিথিন যদি কোনোভাবে আলগা হয়ে থাকে, বা মাংসের গায়ে লেপ্টে মুচড়ে থাকে, তাহলে সে মাংস না কেনাই ভালো।
  5. হাত দিয়ে আলতো করে চেপে পরখ করে দেখে নিন, কাটা মাংস খুব শক্ত অথবা খুব নরম লাগছে কিনা। এরকম হলে মাংসটি কিনবেন না। মাংস টাটকা হলে তাতে আলতো চাপ দিলে কিছুটা স্পঞ্জের মত অনুভূত হবে।

এবার আসছি গরুর মাংস প্রসঙ্গে। আমাদের দেশে গরু মহিষ ছাগল ভেড়া সবরকম গবাদিপশুর মাংসই সমানহারে বিক্রয় হয়। কিন্তু মজার ব্যাপারটি হচ্ছে, হাতে গোনা কয়েকটি মাংসের দোকান বাদে বেশিরভাগ কসাইখানাতেই মহিষ ও ভেড়ার মাংস ক্রেতাদের সামনে প্রদর্শন করা হয়না। তাহলে এই মহিষ, ভেড়া ও ষাঁড়ের মাংসগুলো কোথায় যায়? মূলত এই মাংসগুলোকেই গরুর মাংসের সাথে মিশ্রিত করে বিক্রয় করে দেয়া হয়। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক, কিভাবে আসল গরুর মাংস শনাক্ত করবেন !

আসল গরুর মাংস চেনার উপায়

  1. গরুর মাংসে লালচে ভাবটা থাকে কম। অন্যদিকে মহিষের মাংস গরুর মাংসের তুলনায় বেশি লালচে হয়।
  2. গরুর মাংসের মাঝখানে থাকা ‘রেওয়াজ’ বা চর্বি সদৃশের ভিন্নতা রয়েছে। যেমনঃ ষাঁড়ের রেওয়াজ সাদা, গাভীর রেওয়াজ হলুদ, আবার মহিষের রেওয়াজও হয় সাদা। আসল গরুর মাংসে এই রেওয়াজ বা চর্বি সদৃশ বেশি থাকে।
  3. গরুর মাংসে আঁশ কম থাকে। অন্যদিকে মহিষের মাংসে আঁশ বেশি।
  4. গরুর মাংসের তুলনায় খাসি ও ভেড়ার মাংসের গন্ধ আলাদা হয়।
  5. ভেড়ার মাংসে মহিষের মতই চর্বি কম থাকে, কিন্তু গন্ধ হয় উৎকট।

Leave a Reply