হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর নবুয়্যত প্রাপ্তি তথা পবিত্র কুরআন নাজিলের ঘটনা

নবীজী ২৫ বছর বয়সে বিবি খাদিজা (রাঃ) এর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বলাবাহুল্য, খাদিজার ছিলেন বিরাট বড়লোক, তার সম্পত্তির পরিমাণ ছিলো বিশাল, এবং আরবের প্রাপ্তবয়স্ক মোটামোটি সকলেই খাদিজার সাথে বিয়ের স্বপ্ন দেখতো। কারণ শুধু সম্পদের দিকেই নয়, খাদিজা ছিলেন রুপে, গুণে পুরো আরবের মধ্যে সুপ্রসিদ্ধ। মুহাম্মদ ছিলেন খাদিজার সেক্রেটারি টাইপের একজন। তিনি খাদিজার ব্যবসা সামলাতেন। খাদিজা যুবক মুহাম্মদের নিষ্পাপ চরিত্র দর্শন করে, তার কথায় মুগ্ধ হয়ে, তার ব্যবসা চালনার পারদর্শিতা লক্ষ করে নিজেই মুহাম্মদের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। নবীজীর চাচা এবং অভিবাদক আবু তালিব এই প্রস্তাব অতি আনন্দের সাথে গ্রহণ করলে তাদের বিয়ে সুসম্পন্ন হয়। বিয়ের পর খাদিজা তার সকল সহায় সম্পত্তি নবীজীকে দান করে দেন।

নবীজী এই বিশাল সম্পদের মালিক হয়েও সেসবের দিকে তার কোনো ভ্রুক্ষেপই ছিলোনা। তিনি সারাদিন কেমন যেন অন্যমনস্ক হয়ে থাকেন। কোনো কাজেই যেন তার মন নেই। তার মনে সারাক্ষণই একটা চিন্তা। দুনিয়ার মানুষজন এমন কেন? কেন দেশে সারাক্ষণই খুনাখুনি, অন্যায় অবিচার লেগেই আছে? তারা কেমন যেন পশুর মত একটা জীবন যাপন করছে। হিংস্র পশুর মতই তাদের ব্যবহার। কারো মনেই দয়া নেই, মায়া নেই, কারো ভালো কেউ দেখতে পারেনা। একজন কে মেরে আরেকজন বড়লোক হতে চায়, মিথ্যা প্রশংসা পেতে সবাই ব্যস্ত। এসব তো কোনো মানুষের স্বভাব হতে পারেনা। কী করে তাদের এই স্বভাব দূর করে তাদের প্রকৃত মানুষে পরিণত করা যায়?

এইরুপ নানারকম চিন্তায় নবীজী মন সবসময় ব্যাকুল হয়ে থাকে, সংসারের দিকেও মন আকৃষ্ট হয়না।

মাঝেমাঝে তিনি অদূরবর্তী হেরা নামক পর্বতের গুহায় চলে যান। সেখানে নির্জনে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় বসে তিনি এসব কিছু চিন্তা করেন।

নবীন যুবক তিনি, ঘরে আরবের সবচেয়ে সুন্দরী বউ, হাতের কাছে অঢেল সম্পদ – কোনোকিছুই তার মনকে বেঁধে রাখতে পারেনা। প্রয়োজনের তাগিদে তিনি সকলের সাথেই উঠাবসা করেন, কথাবার্তা বলেন, সবই অন্যমনস্ক ভাবে।

বিবি খাদিজা নবীজীর এহেন উদাসীনতা দেখে বিচলিত হন, তবে তিনি কোনোরকম বিরক্ত বা অসন্তুষ্ট হন না।

নবীজী ভাবেন, এতো ধনসম্পদ দিয়ে হবেটা কী? এই দুনিয়াটা কয়দিনের? তিনি তো আর বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়ে সুখভোগ করতে দুনিয়ায় আসেননি। তিনি এসেছেন আলোর দিশারী হয়ে, মানু্ষের মনে আলো জ্বালতে, মানুষের দুঃখ কষ্ট দূর করতে। সেজন্যই তিনি তার সকল সহায় সম্পত্তি গরীব দুঃখীদের মধ্যে বিলিয়ে দিলেন।

এবার নবীজী একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। কয়েকটা খেঁজুর, কয়েকটা রুটি আর বোতল ভরে পানি নিয়ে তিনি কয়েকদিনের জন্য হেরা গুহায় চলে যান। সেখানে ধ্যানমগ্ন থাকেন। খাবার পানি ফুরিয়ে গেলে তিনি আবার বাড়ি ফিরে এসে কিছু খাবার পানি নিয়ে যান। বিবি খাদিজা নিজেও মাঝে মাঝে নবীজীর জন্য খাবার পানীয় নিয়ে গুহায় যান। তিনি কখনও নবীজীকে প্রশ্নও করেননি, কেন তিনি এভাবে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত এই গুহায় বসে থাকেন। আরবের কিছু মহিলা খাদিজাকে মুহাম্মদের ব্যপারে উল্টাপাল্টা অনেক কিছু বোঝানোর চেষ্টা করলেও, খাদিজা কখনোই তাদের পাত্তা দেননি।

এভাবে সুদীর্ঘ ১৫ টি বছর কেটে যায়। নবীজীর বয়স তখন ৪০ ছুঁই ছুঁই। এই সময়টাতে তিনি নানারকম অদ্ভুত স্বপ্ন দেখা শুরু করেন। সব স্বপ্নই তিনি বিবি খাদিজার কাছে বর্ণনা করতেন। মহাবুদ্ধমতী খাদিজা সেসব স্বপ্নের প্রকৃত অর্থ না বুঝলেও এটুকু বুঝতে পারেন, নবীজীর এতদিনকার কঠোর সাধনার ফলাফল শীগ্রই বের হবে। এজন্য তিনি নবীজীকে সবসময়ই নানারকম কথার দ্বারা তার মনে সাহসের সঞ্চার করে যাচ্ছিলেন।

কিছুদিন পর স্বপ্ন দেখা ছাড়াও নবীজী আরেকটা ঘটনা খেয়াল করলেন। তিনি একাকী অবস্থায় থাকাকালে কে যেন প্রায় তার নাম ধরে ডাকছে, “ইয়া মুহাম্মদ।” তিনি তখন চারদিকে তাকিয়ে কাউকে না দেখতে পেয়ে ভীত হয়ে দ্রুত বাড়ি চলে আসেন, এবং খাদিজাকে সেসব কথা জানান। এভাবে তার বয়স যখন ৪০ হয়ে গেলো, তখন তিনি প্রতিদিনই কয়েকবার শুনতে পান কে যেন তার নাম ধরে ডাকছে। নবীজী ভয়ের কারণে একবারও সেই ডাকের জবাব দেননি।

বিবি খাদিজা সব কথা শুনে নবীজীকে অভয় দিলেন। বললেন, পরেরবার যখন কেউ আপনাকে ডাকবে তখন আপনি ভয় পাবেন না। বরং জিজ্ঞেস করবেন তিনি কে, এবং আপনাকে কেন ডাকছেন।

খাদিজার কথায় নবীজীর মনে অনেকটাই সাহসের সঞ্চার হলো। তিনি পরেরদিন একাকী অবস্থায় কোথাও যেতেই শুনতে পেলেন, ‘ইয়া মুহাম্মদ’ বলে কে যেন ডাকছে। এবার তিনি সাহস করে দাঁড়িয়ে রইলেন। কিন্তু চারদিকে তাকিয়ে কাউকে দেখতে না পেয়ে উপরে আকাশের দিকে তাকালেন। তাকাতেই তিনি ফেরেশতা জিব্রাইলের বিশাল আকৃতি দেখে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে দৌড়ে বাড়িতে এসে বিবি খাদিজাকে সব জানালেন। বিবি খাদিজা বুঝে গেলেন, নবীজীর এতদিনের সাধনা সফল হতে চলেছে। তিনি নানারকম বাক্যে নবীজীকে সাহস যোগালেন। বিবি খাদিজার আশ্বাসবাণী শুনে নবীজী আবার কিছু খাবার পানীয় নিয়ে হেরাগুহায় গিয়ে ধ্যানমগ্ন হলেন।

দুইদিন পর যখন তিনি গুহা থেকে বের হবেন, ঠিক তখন ফেরেশতা জিব্রাইল তার সামনে উপস্থিত হয়ে বললেন, ইয়া মুহাম্মদ! আপনি পড়ুন।

নবীজী ভয়ের সহিত জবাব দিলেন, আমিতো পড়তে জানিনা।

জিব্রাইল তখন নবীজীকে শক্ত করে বুকের সাথে চেপে ধরলেন। তারপর আবার বললেন, পড়ুন। নবীজী বললেন, আমি পড়তে পারিনা। জিব্রাইল আবারও প্রচন্ড শক্তভাবে বুকের সাথে চেপে ধরলেন। এতোটাই জোরে ধরেছিলেন নবীজী সেটা সহ্য করতে পারছিলেন। তিনি জবাব দিলেন, আমি পড়তে পারিনা।

ফেরেশতা জিব্রাইল পুনরায় তার দৃড়কন্ঠে নবীজীকে বললেন, “ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাযি খালাক। খালাকাল ইনছানা মিন আ’লাক। ইকরা ওয়া রাব্বুকাল আকরামুল্লাযী আল্লামা বিল কালাম। আল্লামাল ইনছানা মা-লাম ইয়া’লাম।” (সূরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত)

اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ

১) পড়ো তোমার রবের নামে ৷ যিনি সৃষ্টি করেছেন৷

خَلَقَ الْإِنسَانَ مِنْ عَلَقٍ

২) জমাট বাঁধা রক্তের দলা থেকে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন৷

اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ

৩) পড়ো, এবং তোমার রব বড় মেহেরবান,

الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ

৪) যিনি কলমের সাহায্যে জ্ঞান শিখিয়েছেন৷

عَلَّمَ الْإِنسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ

৫) মানুষকে এমন জ্ঞান দিয়েছেন, যা সে জানতো না৷

নবীজী ভয়ে থর থর করে কাঁপতে কাঁপতে ফেরেশতা জিব্রাইলের সাথেসাথে উক্ত লাইনগুলো পড়লেন। জিব্রাইল এরপর চলে যেতেই নবীজী অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন।

স্বামীর বাড়ি ফিরতে দেরী হচ্ছে দেখে বিবি খাদিজা তার খবর নেয়ার জন্য দুইজন লোক পাঠালেন। তারা এসে নবীজীকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ধরাধরি করে বাড়িতে নিয়ে আসলেন।

বাড়িতে নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পর নবীজীর জ্ঞান ফিরে আসলেও উনার মন থেকে তখনও ভয় দূর হয়নি। তখনও তিনি কাঁপছিলেন, এবং তার শরীর হতে ঘাম নির্গত হচ্ছিলো। তিনি কম্পিত কন্ঠে বললেন, খাদিজা! আমার উপর পানির ছিটা দাও এবং আমার শরীর আবৃত করে দাও। আমার জীবনের আশংকা হচ্ছে।

খাদিজা যখন দ্রুত নবীজীর শরীরে পানি ছিটালেন, এবং একটি কম্বল দিয়ে নবীজীকে আবৃত করলেন। তারপর খাদিজা বললেন, কেন আপনি এরকম ভীত হচ্ছেন? আপনার কীসের ভয়? আপনিতো কারো কোনো অনিষ্ট করেননি। সকলের সাথে সদ্ব্যবহার করেন, নিরাশ্রয় কে আশ্রয় দেন, সর্বদা সত্য বলেন। আপনার কী হয়েছে আমাকে খুলে বলুন।

নবীজী বিবি খাদিজাকে তখন পুরো ঘটনা খুলে বললেন।

খাদিজা নবীজীকে অভয় দিলেন। তিনি বললেন, আপনার ভয়ের কোনোই কারণ নেই। আমার মনে হচ্ছে আপনার এতদিনের সাধনা সফল হতে চলেছে। তৌরাত ও ইঞ্জিলে এরকম ঘটনার উল্লেখ আছে। আপনি যদি অনুমতি দেন, তাহলে আমি ওয়ারাকা বিন নওফেলের কাছে গিয়ে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে পারি।

নবীজী এতে সম্মত হলেন।

পরেরদিন সকালে বিবি খাদিজা স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ওয়ারাকা বিন নওফেলের নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে সব ঘটনা খুলে বললেন।

ওয়ারাকা বিন নওফেল ছিলেন ঈসায়ী ধর্মালম্বী। নবীজীর দিকে লক্ষ্য করে বললেন, আপনার বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে হযরত ঈসা ও মূসা প্রমুখ নবীদের নিকট যিনি আগমন করতেন, তিনিই আপনার নিকট এসেছিলেন। তৌরাত ইঞ্জিলে যে শেষ নবীর কথা উল্লেখ আছে, আমার বিশ্বাস আপনিই সেই নতুন ধর্ম প্রচারক শেষ নবী। কোনো নবী ব্যতিত ফেরেশতা জিব্রাইল কারো নিকট আগমন করেন না। এখন থেকে আপনাকে খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ খুব তাড়াতাড়িই এমন সময় আসবে, যখন আপনার দেশের মানুষ আপনার শত্রু হয়ে যাবে, আপনার প্রতি অত্যচার করবে এবং আপনাকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেবে। তবে আমি বেঁচে থাকলে অবশ্যই আপনার পাশে থাকবো। যদি ওয়ারাকা বিন নওফেল কিছুদিন পরেই মারা যান।

নবীজী ও খাদিজার মনে তখন কিছুটা ভয়ের উদ্রেক হলেও তারা আনন্দের সাথেই বাড়িতে ফিরলেন।

একদিন তিনি জনমানবহীন প্রান্তরে চলছিলেন, এমন সময় আকাশ থেকে শব্দ ভেসে আসলো, “ইয়া মুহাম্মদ।” নবীজী আকাশের দিকে তাকিয়ে জিব্রাইলকে বিরাটাকারে দেখতে পেলেন। নবীজীর মন তখনও সুস্থির হয়নি, তাই তিনি আবারও ভয় পেয়ে গেলেন। ভয় পেয়ে তিনি বাড়িতে এসে খাদিজাকে বললেন, অতিদ্রুত আমার শরীর কাপড় দ্বারা ঢেকে দাও।

খাদিজা তাড়াতাড়ি নবীজীর শরীর কাপড় দিয়ে ঢেকে দিলেন। তখন নবীর উপর ওহী নাজিল হলো। তিনি শুনতে পেলেন, “ইয়া আইয়্যুহাল মুদ্দাছ্ছিরুকুম ফানজির ওয়া রাব্বাকা ফাকাব্বির ওয়া ছিয়াবাকা ফাতাহহির।”

অর্থাৎ, “হে বস্ত্রাবৃত ব্যক্তি! উঠো! লোকেদের ভয় প্রদর্শন করো তোমার প্রতিপালকের গুনগান করো ও তোমার পরিধেয় বস্ত্রাদি পবিত্র রাখো এবং শিরক ও কুফরী হতে দূরে থাকো।”

এরপর থেকে নবীজীর উপর ঘনঘন ওহী নাজিল হতে লাগলো। যখনি কোনো আয়াত নাজিল হতো, তখন তিনি কোনোকিছু দিয়ে শরীর আবৃত করে শুয়ে পড়তেন, এবং তার শরীর থেকে তখন ঘাম নির্গত হতো। আয়াতগুলো নাজিল হতেই তিনি সেটা মুখস্ত করে ফেলতেন, এবং বিবি খাদিজাকে সেটা শুনাতেন। বিবি খাদিজাও সেটা মুখস্ত রাখতেন।

অতঃপর নবীজী সর্বপ্রথম বিবি খাদিজাকেই ইসলামের দাওয়াত দেন। বিবি খাদিজা তো পূর্ব হতেই সবকিছু জানতেন এবং বিশ্বাস করতেন। এইবারে সরাসরি দাওয়াত পেয়ে তিনি সেটা হাসিমুখে কবুল করলেন এবং ইসলাম গ্রহণ করলেন। বিবি খাদিজাই প্রথম মুসলিম। এজন্যই তাকে ‘উম্মুল মু’মিনীন’ বা মুমিনদের মাতা বলা হয়।

ঘটনা এখানেই শেষ, তবে অফটপিকে আমি একটা কথা না বলে পারছিনা। পুরো ঘটনাতে বিবি খাদিজার ক্যারেক্টারটা খেয়াল করুন। বিবি খাদিজা না থাকলে সবকিছু সম্পন্ন করা নবীজীর জন্য খুবই মুশকিল হতো। একেতো তিনি সকল ধনসম্পদ নবীজীকে দান করলেন। নবীজী আবার সেই সম্পদ গরীব দুঃখীদের মাঝে বিলিয়ে দিলেন। খাদিজা কিছুই বলেননি। নবীজী সমাজ সংসার হতে উদাসীন হয়ে হেরা গুহায় চলে যেতেন, তবুও বিবি খাদিজা অভিযোগ করেননি। বরং সাপোর্ট করেছেন। এমনকি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যপারটা লক্ষ্য করে দেখুন, নবীজী যখন বারবার জিব্রাইলের শব্দ শুনে ভয় পেয়ে পালিয়ে আসতেন, তখন বিবি খাদিজাই বলেছিলে, দাঁড়িয়ে থেকে কী বলে সেসব শুনতে। নয়তো নবীজী যদি বারবারই ভয় পেয়ে পালিয়ে আসতেন, তখন কী হতো? কী হতো সেটা আল্লাহই জানেন, তবে আমি এটুকু বলতে পারি ব্যপারটা খুব বেশিই কঠিন হয়ে যেতো নবীজীর জন্য। বিবি খাদিজা সর্বাবস্থায় নবীজীর পাশে থেকেছেন, নবীজীকে সাহস দিয়েছেন, সাপোর্ট করেছেন। বিবি খাদিজাই সর্বপ্রথম মুসলিম। ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে যখন বারবার বিতাড়িত হচ্ছিলেন, যখন তার উপর অত্যাচার করা হচ্ছিলো, তখনও বিবি খাদিজা সারাক্ষণ নবীজীর পাশে থেকেছেন, সেবা করেছেন, সাহস দিয়েছেন। বিবি খাদিজাই ছিলেন নবীজীর সার্বক্ষণিক বন্ধু এবং পরামর্শদাতা। তিনি না থাকলে হয়তো ইসলামের ইতিহাস ভিন্নভাবে লিখতে হতো। এজন্য নবীজী স্বয়ং এবং পুরো মুসলিম বিশ্ব বিবি খাদিজা (রাঃ) এর নিকট কৃতজ্ঞ।

নিশ্চই আল্লাহ মহান।