মৃত্যুশয্যায় কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তির শেষ উক্তি

জগতের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সত্য হচ্ছে ‘মৃত্যু’। সকল জীবিত প্রানীকেই একদিন না একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। কিন্তু কি হয় মৃত্যুর পরে? এই রহস্যের সমাধান আজ অব্দি করতে পারেনি কেউ। যাপিত জীবনের সমস্ত প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির শেষ বিন্দু হচ্ছে মৃত্যু।

অনেকের মতে, মৃত্যুশয্যায় মৃত্যুর ঠিক পূর্বমুহূর্তে মানুষ তার সারাজীবনের সমস্ত কর্মসাধনার ফ্ল্যাশব্যাক দেখতে পায়। হয়ত সত্যিই পায়, অথবা শুধুমাত্র তার প্রিয়জনদের সাথে কাটানো সুন্দর মূহুর্তগুলো দেখতে পায়। বাদ দেই সেসব কথা, আজকের পোস্টের মূল বিষয় হচ্ছে কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তির মৃত্যুশয্যায় শুয়ে বলা শেষ উক্তি ।

চলুন দেখে নেই, কি ছিলো ইতিহাস তৈরী করা কয়েকজনের শেষ উক্তি!

১. বিশ্বখ্যাত টেলিকমিউনিকেশন ব্র্যান্ড ‘এ্যপল’ -এর প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস্। তার বোন মোনা’র ভাষ্য অনুযায়ী স্টিভ সাহেবের বলা শেষ কথা ছিলো, “ওহ্ ওয়াও, ওহ্ ওয়াও, ওহ্ ওয়াও”

২. মৃত্যুর পূর্বে স্যার আইজ্যাক নিউটন খুবই বিনয়ের সাথে বলেছিলেন, “জানিনা জীবদ্দশায় আমি কি করতে পেরেছি। আমার কাছে মনে হচ্ছে জীবনটা একটা সমুদ্রতীরের মতো ছিলো। যেখানে আমি জলকেলি করেছি আর ঝিনুক কুড়িয়েছি।”

৩. লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি মৃত্যুশয্যায় শুয়ে বলেছিলেন, “আমি মনে করি ঈশ্বর এবং মানবজাতিকে আমি অপমান করেছি। কারন আমার কাজগুলো যতোটা উৎকৃষ্ট হওয়া উচিৎ ছিলো, তা হয়নি।”
তারমানে কি তিনি মোনালিসা-কে আরো বেশি রহস্যময়ী করতে চেয়েছিলেন?!

৪. ৮৪ বছর বয়সে মৃত্যুশয্যায় শুয়ে থাকা বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন-কে তার মেয়ে ডান দিকে কাত হয়ে শুতে অনুরোধ করেছিলো, যাতে সে সহজে নিঃশ্বাস গ্রহন করতে পারে। ফ্র্যাঙ্কলিনের শেষ কথা ছিলো, “একজন মৃতপ্রায় ব্যাক্তি কোনোকাজ-ই সহজে করতে পারে না।”

৫. বিখ্যাত সিরিয়াল কিলার জেমস্ ডাব্লিউ রজার্স-কে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করানোর পর তার শেষ ইচ্ছা জানতে চাওয়া হয়েছিলো। সে বলেছিলো, “আমাকে একটি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট এনে দাও।”
এরপরেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিলো।

৬. বিখ্যাত গোয়েন্দা সিরিজ শার্লক হোমসের লেখক স্যার আর্থার কোনান ডায়েল ৭১ বছর বয়সে তার নিজস্ব বাগানে মারা যান। তিনি তার স্ত্রী-কে বলেন, “আমার দেখা সবচে’ সুন্দরতম দৃশ্য হচ্ছে তোমার মুখ।” এরপরেই নিজের বুক চেপে ধরেন তিনি, এবং পরক্ষনেই মারা যান।

৭. বিখ্যাত লেখক টি. এস. এ্যলিয়ট মারা যাবার আগে বিড়বিড় করে শুধু একটি শব্দই উচ্চারন করেছিলেন, “ভ্যালেরি” … তার স্ত্রী’র নাম।

৮. আত্মহত্যার পূর্বে আর্নেস্ট হেমিংওয়ে তার স্ত্রী মেরি-কে বলেছিলেন, “শুভরাত্রি প্রিয়তমা”

৯. মৃত্যু’র পূর্বে আলফ্রেড হিচকক বলেছিলেন, “কেউ যথাযথভাবে জানেনা তার শেষ কোথায়। মৃত্যু’র পর কি হয়, তা জানার জন্যে অবশ্যই মৃত্যুগ্রহন করতে হবে। যদিও খ্রিষ্টানদের নিজস্ব বিশ্বাস ও আস্থা থাকে!”

১০. এবং স্যার উইনস্টন চার্চিল -এর শেষ কথা ছিলো, “আমি সবকিছুর উপর প্রচন্ড বিরক্ত।”

… আমি সবকিছুর উপর প্রচন্ড বিরক্ত 🙂

Leave a Reply