অদ্ভুত ক্ষমতার অধিকারী রহস্যময় ৫টি শিশু !

ছোটবেলায় সুপারহিরোদের কার্টুন-কমিক দেখে আমাদের সবারই কমবেশ ইচ্ছে হত অসাধারণ ক্ষমতার অধিকারী হতে। তা তো আর সম্ভব না। তবে এটা ঠিক যে, আমাদের সবারই কিছু না কিছু দক্ষতা থাকে, যা অন্যদের থেকে আমাদের আলাদা করে রাখে। জেনে অবাক হবেন, পৃথিবীতে সত্যিই অসাধারণ ও আলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী এমন কিছু শিশু আছে, যাদের ক্ষমতা অনেকাংশে আমাদের স্বপ্নের সেই সুপারহিরোদের মত। এরকম পাঁচটি শিশুর কথাই আজ আমরা জানবো…

অদ্ভুত ক্ষমতার অধিকারী রহস্যময় ৫টি শিশু

১. হাসনাহ মোহাম্মেদ (Hasnah Mohamed) : ইউএসের লেবাননে বসবাসকারী অদ্ভুত ক্ষমতার অধিকারী একটি মেয়ে হাসনাহ মোহাম্মেদ। যখন সে কাঁদে তখন তার চোখ দিয়ে ক্রিস্টাল বের হয়। ১২ বছর বয়সে একটি স্কুলে থাকাকালীন সে তার চোখে ব্যথা অনুভব করে। এর কিছুক্ষণ পরই তার চোখ দিয়ে একটি ক্রিস্টালের টুকরো বের হয়। এই ব্যাপারটি সে তার মা বাবাকে জানায়। তারপর থেকে প্রতিদিন তার চোখ দিয়ে সাতটি করে ক্রিটাল বের হত। এব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে গেলে তারাও কিছু বলতে পারেননি। অনেকেই এই ক্রিস্টালগুলো সংগ্রহ করে থাকে, কারণ তাদের মতে এই ক্রিস্টালগুলোতে হিলিং পাওয়ার রয়েছে। এই ক্রিস্টালগুলো থেকে নেকলেস ও রিং বানানো হয়েছে। তার চোখে কিভাবে এই ক্রিস্টালগুলো সৃষ্টি হয়, তা আজও রহস্য হয়ে আছে।

২. এলিস টান রবার্টস (Elise Tan Roberts) : আমরা সবাই বিখ্যাত বিজ্ঞানী আনস্টাইনকে চিনি, যার আইকিইউ ছিলো ১৬০। নরটোনের এলিস টান রবার্টসের বয়স যখন ২ বছর, তখন তার আইকিইউ ছিলো ১৫৬। মাত্র ৫ মাস বয়স থেকেই সে কথা বলতে শুরু করে। ৭ মাসের মধ্যে চলতে শিখে যায়। যখন তার বয়স মাত্র দেড়বছর, তখন সে পৃথিবীর সব দেশ ও রাজধানীর নাম মনে রাখে। ছোটবেলাতেই সে নানান ভাষা শিখা শুরু করে দেয়। ২ বছর বয়সে তাকে মেনসা’র মেম্বার করা হয়। মেনসা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষদের একটি সংস্থা। এলিস টান রবার্টস ভবিষ্যতে একজন বড় বিজ্ঞানী হতে চায়।

৩. আন্না বেলিস (Anna Belysh) : বলা হয় মেয়েদের শারীরিক শক্তি ছেলেদের থেকে কম হয়। কিন্তু গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী আন্না বেলিস একটু ভিন্ন ধরনের। মাত্র ১ বছর বয়সে সে ৫২ মিনিটে ১৫০০টি পুশআপ করে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ে। ১৩ বছর বয়সে সে দড়ির সাহায্যে ২ টন ওজনের দুটি গাড়ি টেনে তার ক্ষমতা প্রদর্শন করে। এছাড়াও সে হেন্ডস্টান্ড অবস্থায় পা দিয়ে সঠিক টার্গেটে তীর ছুড়তে পারে। তার বাবা বলেন, এই মেয়ে যে কিভাবে এত অসাধারণ প্রতিভা অধিকার করছে, তিনি নিজেও তা ভেবে পান না।

৪. নাশাতা ডেমকিনা (Natasha Demkina) : রাশিয়াতে বসবাসকারী নাশাতা ডেমকিনা নামের এই মেয়েটি দাবী করে সে মানুষ শরীরের ভিতরেও দেখতে পারে। ঠিক একটি এক্সরে মেশিনের মত। যেকোনো মানুষকে দেখে সে তার শরীরের ভিতরের অবস্থা বলে দিতে পারে। নাশাতা ডেমকিনা নামে অদ্ভুত ক্ষমতার অধিকারী এই মেয়েটির মা বলেন, ১০ বছর বয়স পর্যন্ত সে বাকি বাচ্চাদের মত স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু তারপর থেকে তার মধ্যে এই অসাধারণ ক্ষমতার প্রকাশ গড়তে থাকে। রাশিয়াতে এই মেয়েটিকে “দ্যা গার্ল উইথ এক্সরে আই’স” বলে ডাকা হয়। সে এখনো তার এই এক্সরে দিয়ে মানুষকে দেখে এবং রোগের ব্যাপারে বলে থাকে।

৫. এমা টাবলাটে (Emma Tablate) : পাইরোক্যানেসিস হলো এমন এক ধরনের শক্তি, যেখানে মস্তিষ্কের সাহায্যে আগুন জ্বালানো আগুনকে নিয়ন্ত্রন করা যায়। ফিলিপিনসে বসবাসকারী এমা টাবলাটে নামে এই মেয়েটি যেখানে যায়, সেখানেই আগুন লেগে যায়। অনেকবার তার বাড়িতেও আগুন লেগেছিলো। এমন কি তার নিজের পরনের জামাকাপড়েও আপনাআপনিই আগুন লেগে যায়। সে তার এই শক্তির সাহায্য যেকোনো জিনিসে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে। এরকম ঘটনা তার সাথে প্রায়ই ঘটে। তার এই অসাধারণ ক্ষমতা দেখে বিজ্ঞানীরা অবাক হন।

এমা টাবলাটে’র উপরে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। কিন্তু কোনো অস্বাভাবিক কিছুই ধরা পরেনি। তবে হ্যাঁ, রিসার্চাররা একটা জিনিস লক্ষ করেন, তার শরীরের ব্লু অফ এনার্জি স্বাভাবিক নয়। বয়স কম হওয়ার জন্য তার এই শক্তিকে সে ভালোভাবে কন্ট্রোল করতে পারেনা।