ভুল মাস্ক ব্যবহারে যেভাবে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস !

মাস্ক এখন বাজারে সোনার হরিণ ! মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। বাজারে চড়া দামে বিক্রয় হচ্ছে রঙবেরঙের মাস্ক। কোনোটা মেডিকেল সার্টিফাইড নিয়মে প্রস্তুতকৃত। আবার কোনোটা সদ্য লাভের আশায় ভুল নিয়মে পাড়ার দর্জির হাতে সেলাইকৃত। প্রাণের নিরাপত্তায় কেউ পিছিয়ে নেই। সবাই মাস্ক ব্যবহার করছেন…

কিন্তু আমরা কি সঠিক নিয়মে মাস্ক ব্যবহার করছি? আপনার ব্যবহৃত মাস্কটি কি আদৌ আপনাকে সুরক্ষা দিচ্ছে? মাস্ক ব্যবহার করতে হবে বলে অনেকেই যাচাই বাছাই ছাড়াই মাস্ক কিনে ব্যবহার করছেন। এর থেকে করোনার ঝুঁকি কমছেনা বরং আরো বাড়ছে বলেই জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা !

কিধরনের মাস্ক ব্যবহার করছে জনসাধারণ ?

বর্তমানে রাস্তায় বের হলে বেশিরভাগ মানুষের মুখেই যেসব মাস্ক দেখা যাচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে – এন৯৫ মাস্ক (N95 Mask), তিন স্তর বিশিষ্ট ডিসপোজাল সার্জিক্যাল মাস্ক, গেঞ্জি কাপড় ও স্পঞ্জের মাস্ক, কাপড়ের তৈরি মাস্ক, ওড়না বা রুমাল বেঁধে মাস্কের মত ব্যবহার।

এতে কি কোনো লাভ হচ্ছে?

ভারতের বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সরাসরি বলেছেন, মাস্কের মাধমে তেমন কোনো কাজ হবে না। তাদের মতে, এধরনের ভাইরাস কখনোই মাস্ক দিয়ে ঠেকানো সম্ভব নয়…

… তবে কি মাস্ক পরার কোনো দরকার নেই?

দরকার আছে। অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। তবে কারা কারা মাস্ক পরবেন, আর কারা কারা পরবেন না, সে বিষয়ে আগে বিশেষজ্ঞদের মতামত জানতে হবে। অল্প কথায় জেনে নিন।

কোন মাস্ক কখন কি কাজে ব্যবহার করবেন?

  • এন৯৫ মাস্ক একমাত্র তখনই প্রয়োজন যখন কেউ সরাসরি রোগীর কাছে থাকেন। এক্ষেত্রে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তা ব্যবহার করবেন। এমনকি যারা রোগীর এক মিটারের মধ্যে থাকবেন তারা এটি ব্যবহার করবেন।
  • সার্জিক্যাল বা অন্য ধরনের মাস্ক করোনা ঠেকাতে কোনো কাজে দেয় না। তবে যাদের সর্দি-কাশি হচ্ছে, তারা এই সার্জিক্যাল মাস্ক পরুন। সেটা নিজের জন্য নয়, অন্যের শরীরে রোগ না ছড়ানোর সচেতনতা থেকে।
  • এছাড়া অন্যান্য কোনো ধরনের মাস্ক বিশেষভাবে কার্যকরী নয় করোনাভাইরাস ঠেকাতে। বার বার মাস্কে হাত দিলে তা আরো বিপদ ডেকে আনে।

মাস্ক যখন বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায় !

  • এন৯৫ মাস্কের মাধ্যমে ৯৫ শতাংশ ভাইরাস মরে। তবে এই মাস্ক সবসময় পরে থাকা যায় না। একটানা ১০ মিনিট পরে থাকলেও নানা সমস্যা হয়। নাক-কানে চাপ পড়ে। কানে ব্যথা হয়। একটা সময়ের পর দমবন্ধ লাগে। তাই এই মাস্ক পরলে বারবার তা নামিয়ে রাখতে বাধ্য হন মানুষ। কখনো নাকে-মুখে হাত দিয়ে তা ঠিক করতে হয়। এতেই ক্ষতি বাড়ে।
  • আর কোনো ধরনের মাস্ক এক্ষেত্রে খুব একটা কাজে লাগে না। তাছাড়া যেখানে সেখানে দমবন্ধ ভাবসহ গরম লাগলেও অনেকে হাত দিয়ে মাস্ক খুলে ফেলছেন। এতেও বিপদ বাড়ছে।
  • মাস্ক পরার পর মাঝেমধ্যেই তা ঠিক করতে অনেকেই নাকে বা কানে হাত দিচ্ছেন। এতে হাতের জীবাণু মাস্ক থেকে অতঃপর শরীরে প্রবেশ করছে। মাস্কের উপরিভাগের জীবাণু মিশছে হাতে। ফলে কাজের কাজ তো হচ্ছেই না বরং বিপদ আরো বাড়ছে।

(You was reading : Which is the right face mask to prevent Coronavirus?)